শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
সমিতির উন্নয়ন, চালকদের সহযোগিতা, গেঞ্জি ও গামছা বিতরণসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে টোকেনের মাধ্যমে প্রতি রিকসা থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নেয়া হচ্ছে চাবি, ছেড়ে দেয়া হচ্ছে টায়ারের বাতাস, করা হচ্ছে মারধর-এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। মাত্র দুই দিনের মধ্যে এসব ঘটনার জন্ম দিয়েছে সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভায় নব প্রতিষ্ঠিত ‘দিরাই ব্যাটারী চালিত রিক্সা শ্রমিক সমিতি’ নামের একটি সংগঠনের অডিটর। দিরাই পৌরসভার মেয়রের দোহাই দিয়ে করা হচ্ছে এসব কাণ্ড!
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি লুৎফুর রহমানকে সভাপতি ও ছিদ্দিকুর রহমান তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে দিরাই ব্যাটারী চালিত রিক্সা শ্রমিক সমিতির ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠিত হয়। এ পর্যন্ত তাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় দেড়শ জন। প্রতি রিকসা থেকে ১০ টাকা করে টোকেনের মাধ্যমে তোলা হচ্ছে এসব টাকা। গত ১ নভেম্বর থেকে দিরাই বাজার ব্রিজের উত্তর প্রান্তে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত অডিটর এ টাকা উত্তোলন করেন। এতে দিরাই পৌরসভার মেয়রের সম্মতি রয়েছে বলেও দাবি করছে সমিতির সাধারণ সস্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান তালুকদার। তবে অনেক রিকসা চালক না জেনেই টাকা দিচ্ছেন বলেও এ প্রতিবেদককে জানান তারা।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান তালুকদার জানান, রিকসা চালকদের সহযোগিতার লক্ষে এ সমিতি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে গেঞ্জি ও গামছাসহ বিভিন্ন বোনাস দেয়া হবে বিধায় টাকা তোলা হচ্ছে। তাছাড়া এসব বিষয়ে দিরাই পৌর মেয়রও অবগত আছেন বলে তার দাবি।
সমিতির সভাপতি লুৎফুর রহমান বলেন, আমরা মিটিং করে সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের রিকসা চালকরা বিভিন্নভাবে সমস্যায় পড়ে, তাদের সহযোগিতার জন্যই এ সমিতি করেছি। তিনি আরও বলেন, ব্রিজের উত্তরপাড়ে আমরা একজন লোক নিয়োগ দিয়েছি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য। তাকে এ টাকা থেকেই বেতন দেয়া হয়। পৌরসভার একজন লোক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিয়োগ থাকার পর আরও একজন কেন কিংবা সে শৃঙ্খলা রক্ষা না করে টাকা তোলায় ব্যস্তসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। এখন জানতে পেরেছি, ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দিরাই পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিৎ রায় জানান, আমাকে তারা সমিতি করার ব্যাপারে অবগত করেছে। টাকা তোলা কিংবা কোন অনিয়মে আমার দোহাই দেয়া ঠিক নয়, আমি তাদেরকে টাকা তোলার অনুমতি দেইনি। যানজট নিরসন বা শৃঙ্খলা আনয়নে আমাদের নিজস্ব লোক রয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে লোক দিলেও টাকা তোলা অন্যায় বলেও তিনি জানান।